KOREAN

Categories: Language
Wishlist Share
Share Course
Page Link
Share On Social Media

About Course

দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ যা কোরীয় উপদ্বীপের দক্ষিণ অংশটি নিয়ে গঠিত। এর সরকারি নাম কোরীয় প্রজাতন্ত্র (কোরীয়: 대한민국 থ্যাহানমিনগুক)। সিউল হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে কোরীয় উপদ্বীপের উত্তর অংশটি সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনারা এবং দক্ষিণ অংশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা দখলে রেখেছিল। ১৯৪৮ সালে এ থেকে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া রাষ্ট্রদ্বয়ের আবির্ভাব হয়। ১৯৫০-১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের পরে ধ্বংস প্রায়-দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৯০ সালে এসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয় এবং সেই সঙ্গে এশিয়ান চার ড্রাগনে পরিণত হয়।

 

ইতিহাস

অবিভক্ত কোরিয়া মূলত জাপানিদের দখলে ছিল। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে যাবার সময় জাপানিজরা সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তার ফলে অবিভক্ত কোরিয়া ২ ভাগে ভাগ হয়ে যায় । তখন উত্তর কোরিয়া ১৯৫০ সালে সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের মতাদর্শে সমাজতান্রিক ব্লকে চলে যায়, অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া পুঁজিবাদি আমেরিকার মতাদর্শে এর পুঁজিবাদি ব্লকে যোগদান করে। তখন থেকে কোরিয়া ২টি ভিন্ন নাম যথা উত্তর ও দক্ষিণ তথা ২টি ভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় চলতে শুরু করে। দক্ষিণ কোরিয়াতে আমেরিকার পুঁজিবাদ আর উত্তর কোরিয়াতে সোভিয়েত ইউনিয়নের মত সমাজতন্ত্রবাদ চালু হয়। এটিই ১৯৪৮ সালে পথ দেখিয়েছে অবিভক্ত কোরিয়াকে বিভক্তিকরণে । উত্তর কোরিয়ার সরকারি নাম রাখা হয় গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া আর দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি নাম রাখা হয় প্রজাতন্ত্রী কোরিয়া । উত্তর কোরিয়ার রাজধানীর নাম হয় পিয়ং ইয়াং, এবং দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীর নাম হয় সিওল।

 

অর্থনীতি

দক্ষিণ কোরিয়াকে টাইগার অর্থনীতির দেশ বলা হয়

 

জনসংখ্যা

কোরীয় ভাষা দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি ভাষা। এখানকার প্রায় সব লোক কোরীয় ভাষাতে কথা বলেন। আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়।

 

শিক্ষা

সাক্ষরতার হার: মোট – ৯৮.৩% (পুরুষ – ৯৯.৫% এবং নারী – ৯৭.৩%)

 

জনস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও সংস্কৃতি

দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি উদ্ভূত হয়েছে প্রাচীন সংস্কৃতি থেকে। ১৯৪৮ সালে কোরিয়ার বিভক্ত হওয়ার ফলে উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতির তারতম্য দেখা দিয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি বেশ অত্যাধুনিক। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের কারণে পোশাক-পরিচ্ছেদ, রন্ধন, বাসস্থান ইত্যাদিতে জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন হয়েছে, আর এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ান আধুনিক সংস্কৃতি। কোরিয়া সংস্কৃতি এশিয়া ও বিশ্বে জনপ্রিয় হয়েছে বলে একে বলা হয় কোরীয় ঢেউ।

 

কোরিয়ান ভাষা ও বর্ণমালার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

সহস্রাব্দ প্রাচীনকাল থেকে যে কয়টি ভাষা আধুনিক পৃথিবীর বুকে সগৌরবে টিকে আছে, কোরিয়ান ভাষা তাদের মধ্যে অন্যতম। সাড়ে সাত থেকে আট কোটি কোরীয় বংশোদ্ভূতের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম এই ভাষা । এর মধ্যে প্রায় পাঁচ কোটি দক্ষিণ কোরিয়া ও আড়াই কোটি উত্তর কোরিয়ার অধিবাসী। এদের বাইরে চীনে ২০ লক্ষ, যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লক্ষ এবং জাপানে ৫ লক্ষের মতো কোরিয়ান ভাষাভাষী রয়েছেন। ভাষাভাষী জনসংখ্যার বিচারে পৃথিবীতে কোরিয়ান ভাষার অবস্থান ১২তম।

রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি: কোরিয়ান ভাষা দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার দাপ্তরিক ভাষা। উচ্চারণ, বর্ণমালা ও শব্দ ভাণ্ডারের কিছু তারতম্য বাদ দিলে উভয় দেশই কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ সোসাইটি কর্তৃক ১৯৩৩ সালে প্রণীত মানদণ্ড অনুসরণ করে থাকে। এছাড়া চীনের দক্ষিণপূর্ব জিলিন প্রদেশের AšÍ©MZ Bয়ানবিয়ান জেলার (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চীনে থেকে যাওয়া কোরিয়ানদের স্বায়ত্তশাসিত একটি এলাকা) দুটি দাপ্তরিক ভাষার একটি কোরিয়ান ভাষা।

উৎপত্তি ও ইতিহাস: কোরিয়ান জাতির মতো কোরিয়ান ভাষারও উৎপত্তির ইতিহাস অদ্যবধি পণ্ডিতদের কাছে অনেকটাই রহস্য রয়ে গেছে। অধিকাংশ ঐতিহাসিক ভাষাবিদ কোরিয়ান ভাষাকে একটি সম্পূর্ণ মৌলিক ভাষা হিসেবে অভিহিত করেছেন। উনিশ শতকের পশ্চিমা পণ্ডিতগণ ইউরাল-আল্টাইক, জাপানীজ, চাইনিজ, তিব্বতিয়ান, দ্রাভিদিয়ান আইন, ইন্দো-ইউরোপিয়ানসহ অনেক ভাষাগোষ্ঠীর সাথে কোরিয়ানের সম্পৃক্ততা দেখিয়েছেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতানুসারে কোরিয়ান ভাষা মঙ্গোলিয়ান, ফিনিশ, হাঙ্গেরিয়ান, তুর্কিসহ এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের অনেকগুলো ভাষার জনক ইউরাল-আল্টাইক ভাষাগোষ্ঠীর দূর সম্পর্কের আত্মীয়।

প্রথম শতাব্দীর প্রথমার্ধে কোরিয়া উপদ্বীপ ও দক্ষিণ মাঞ্চুরিয়া বেশ কয়টি উপজাতি রাজ্যে বিভক্ত ছিল। এসময় এ অঞ্চলে দুই প্রকার ভাষার উৎপত্তি ঘটে বলে ধারণা করা হয়। উত্তরাঞ্চলের ভুইয় (Buyeo), ওকজ (Okjeo), দোং ইয়ে (Dongye) ও গোগুরিও (Goguryo) রাজ্যগুলোতে ভুইয় (Puyo) নামক একটি ভাষাগোষ্ঠী এবং দক্ষিণাঞ্চলের শিলা (জিনহান), মাহান ও বেনহানে হান নামের আরেকটি ভাষাগোষ্ঠী গড়ে ওঠে। এ দুই গোষ্ঠীর এক বা একীভূত একাধিক ভাষার বিবর্তিতরূপই কালক্রমে কোরিয়ান নামে একক ভাষায় পরিণত হয়।

সপ্তম শতাব্দীতে শিলা রাজ্য উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের অনেকটা এলাকা দখল করে নিলে শিলান এ অঞ্চলের প্রধান ভাষা হয়ে উঠতে শুরু করে। দশম শতকে কোরীয় সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তনকালে রাজধানী চলে আসে কেসংয়ে, এসময় কেসংয়ের ভাষা সমগ্র কোরিয়া উপদ্বীপে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। চর্তুদশ শতকের শেষভাগে চীনা দার্শনিক কনফুশিয়াস অনুসারী জোসন কোরিয়ার আধিপত্য দখলে নিলে রাজধানী সরে আসে সিউলে। তবে তা কেসং থেকে খুব বেশী দূরে না হওয়ায় এ সময়ে জাতীয় ভাষায় নতুন করে আর আঞ্চলিক প্রভাব পড়ে নি। এভাবে বিভিন্ন সময়ে কোরিয়ান ভাষার যে কয়টি আঞ্চলিক রূপ শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছে সেগুলোর মধ্যে সিউল(Seoul, খিয়ংসাং (Kyongsang), ঝল্লা (Cholla), হামখিয়ং (Hamgyong), ফিয়ংআন (P’yong’an), হোয়াংহে (Hwanghae) ও জেজু এলাকার ভাষা উল্লেখযোগ্য। আঞ্চলিক টান ও সামান্য কিছু শব্দ বাদ দিলে এদের মাঝে তেমন কোন পার্থক্য নেই বললেই চলে। তবে জেজু দ্বীপের ভাষায় মধ্যযুগীয় রূপের কিছুটা ভাব এখনও রয়ে যাওয়ায় । এ অঞ্চলের ভাষার সাথে আধুনিক কোরিয়ান ভাষার পার্থক্যটা বেশ ভালোভাবেই ধরা পড়ে।

বর্ণমালা: পঞ্চদশ শতকের আগ পর্যন্ত কোরিয়ান ভাষা হাঞ্জা নামক চীনা বর্ণমালা দিয়ে লেখা হতো। হাঞ্জা বর্ণমালায় কোন শব্দ লেখা যেতো না, কেবল বিভিন্ন ধারনার চিত্ররূপ দেয়া হতো। সমাজের অভিজাত শ্রেনীর উচ্চ শিক্ষিত লোকজন ছাড়া এ বর্ণমালা সাধারণ মানুষ লিখতে ও পড়তে পারতো না। এ বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে জোসন যুগের চতুর্থ রাজা সেজং (১৪১৮ – ১৪৫০) সর্বস্তরের কোরিয়ানদের ব্যবহার উপযোগী একটি বর্ণমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেন। তবে এমন উদ্যোগের জন্য সময়টা খুব সুবিধার ছিল না। শিক্ষিত সমাজের আভিজাত্য আর মর্যাদার লড়াইটা তখন খুব প্রকট। আমজনতা থেকে নিজেদের আলাদা রাখাটাই ছিল অভিজাতদের সবচেয়ে বড় ধ্যানজ্ঞান। বাঁধা-বিপত্তি, উপেক্ষা করে ১৪৪০ সালে রাজা সেজং রয়্যাল সোসাইটির পণ্ডিতদের সরল ও সহজবোধ্য একটি নতুন বর্ণমালা প্রণয়নের দায়িত্ব দেন। প্রায় একশ ভাষাবিদের তিন বছরের প্রচেষ্টায় প্রণীত হয় কোরিয়ান ভাষার স্বতন্ত্র বর্ণমালা হুনমিন-ঝং উম (Hunmin-chongum)। মানুষের বাক-প্রত্যঙ্গ, মুখ, জিহ্বা ও কণ্ঠনালীর উপর দীর্ঘ গবেষণা করে তাঁরা মোট ২৮ টি অক্ষর (১৭ টি ব্যঞ্জনবর্ণ ও ১১ টি স্বরবর্ণ) প্রস্তাব করেন। আরও তিন বছর আলোচনা-পর্যালোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পণ্ডিতগণ ১৪৪৬ সালে বিস্তারিত ব্যাখ্যা, উদাহরণ ও পূর্ণ ব্যাকরণসহ হুনমিন-ঝং উম বর্ণমালা রাজার কাছে হস্তান্তর করেন। এ বছরের অক্টোবর মাসে রাজা সেজং কোরিয়ানদেরকে তাঁদের সম্পূর্ণ নিজস্ব বর্ণমালাটি আনুষ্ঠানিকভাবে উপহার দেন। হুনমিন-ঝং উম‘র প্রচলন কোরিয়ায় রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়ে দিলো। যোগাযোগের মাধ্যমে শ্রেনী বৈষম্য, শিক্ষাদীক্ষায় উঁচু-নিচু ভেদাভেদ রাতারাতি ধুলোয় মিশে যেতে লাগলো। রাজা সেজংয়ের এই উদ্যোগ কথিত অভিজাতদের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। পরবর্তী কয়েক শতক তাঁরা নিজেদের হাঞ্জা ভাষাতেই সাহিত্যচর্চা, পড়াশুনা চালিয়ে গেলেও ক্ষোভ, ঘৃণা, শ্রেষ্ঠত্ব হারানোর ভয় আর হতাশায় হুনমিন-ঝংউম কে “আবর্জনা” আখ্যা দিয়ে একে বিলুপ্ত করার চেষ্টাও কম করেন নি। উনিশ শতকের শেষভাগে কোরিয়ায় জাতীয়তাবাদের হাওয়া প্রবলভাবে বইতে শুরু করে। এ সময় হুনমিন-ঝং উম -এর নতুন নাম হয় খুংমুন (জাতীয় বর্ণমালা)। সাহিত্যিক ভাষায় হাঞ্জার ব্যবহার ব্যাপকভাবে কমতে থাকে এবং খুংমুনে সাহিত্য চর্চা “নিউ নোভেল্লা ” নামে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। আঠারশো আশির দশকে কোরিয়ায় অবস্থিত প্রেসবিটারিয়ান ও রোমান ক্যাথলিক মিশনারী স্কুলগুলো কোরিয়ান শিশুদের খুংমুন বর্ণমালা ।

 

ইপিএস EPS ভিসায় কো‌রিয়া যাওয়ার উপায় জেনে নিন

বৈধ ভাবে কাজের ভিসা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় এবং গিয়ে মাসে দুই লাখ টাকা আয় করার জন্য ইপিএস EPS ভিসায় কো‌রিয়া যাওয়ার উপায় জেনে নিন বিস্তারিত। কাজের ভিসায় বিদেশ যাওয়া তাও আবার কোন দালাল না ধরে বা কোন এজেন্সিতে ৫/৬ লাখ টাকা খরচ না করে। বাংলাদেশের পরিপেক্ষিতে কথা গুলো অবাস্তব মনে হলেও সত্য। যারা ওয়ার্ক পারমিট বা কোরিয়া লটারি ভিসায় কম খরচে কোরিয়া যেতে চান তাদের জন্য বিস্তারিত উল্লেখ করছি।

 

ইপিএস ভিসা কি ?

কোরিয়া সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয় এইচআরডি শাখার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নেয়ার জন্য যে ভিসা প্রোগ্রাম চালু রেখেছে তাই ইপিএস বা ইমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম ভিসা। ইপিএস সিস্টেম এর আওতায় বাংলাদেশ সরকার এবং কোরিয়া সরকারের মধ্যে ২০০৭ সালে চুক্তি সম্পাদিত হয়। যার ফলে কোরিয়া সরকার ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক নিচ্ছে যাচ্ছেন। চুক্তি অনুযায়ী কোরিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় দুই থেকে তিন হাজার শ্রমিক নিয়ে থাকে। ইপিএস সিস্টেম এর আওতায় বাংলাদেশ সহ ১৫ টি দেশ (বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পূর্ব তিমুর, ইন্দোনেশিয়া, কিরগিজস্তান, লাওস, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, উজ্বেকিস্থান, ভিয়েতনাম) থেকে অদক্ষ শ্রমিক নেয়ার জন্য কোরিয়া সরকার প্রতি বছর অনলাইনে সার্কুলার দিয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে শুধু মাত্র বাংলাদেশ ওভারসিজ এন্ড ইমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড বা সংক্ষেপে বোয়েসেল ই বাংলাদেশ থেকে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইপিএস ভিসায় কোরিয়াতে জনশক্তি পাঠাতে পারে। অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা দালাল চক্র কোন ভাবেই কাওকে পাঠাতে পারবে না। ।

 

ইপিএস কোরিয়ান ভিসায় আবেদন এর যোগ্যতাঃ

প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩৯ বছর এর মাঝে হতে হবে যে ব্যক্তি জীবনে কখনো কারাবাস বা তার অধিক শাস্তি যোগ্য অপরাধ করেনি যাদের উপর বিদেশ ভ্রমনে বাংলাদেশ সরকারের কোন নিষেধাজ্ঞা নাই ইপিএস এর আওতায় কোরিয়া গমনের জন্য কোরিয় ইমিগ্রেশন কর্তৃক ভিসা / সিসিআইভি রিজেক্ট হয়নি পূর্বে দক্ষিন কোরিয়ার অবৈধ ভাবে বসবাস করে নি অথবা কোরিয়া থেকে জোর পূর্বক ফেরত পাঠানো হয় নি পূর্বে দক্ষিন কোরিয়ার অবস্থান কালে কোন প্রকার জেল জরিমানা বা শাস্তির মুখোমুখি হয়নি এমন ব্যক্তি ই ৯/১০ ভিসায় পূর্বে দক্ষিন কোরিয়ায় পাঁচ বছরের বেশি অবস্থান করেনি যাদের কালার উইকনেস বা কালার ব্লাইন্ডনেস সমস্য নাই এমন ব্যক্তি এবং অবশ্যই মেশিন রিডেবল বাংলাদেশী পাসপোর্ট ধারী হতে হবে।

 

আবেদন প্রক্রিয়াঃ

ইপিএস সিস্টেমে এবছর থেকে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে যাতে রিক্রুটমেন্ট পয়েন্ট সিস্টেম ভিত্তিক পরীক্ষা এবং ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এই প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ হলো শধুমাত্র কোরিয়ান ভাষায় দক্ষতা নয় শারীরিক যোগ্যতা প্রযুক্তিক দক্ষতা, কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সামগ্রিকভাবে মূল্যায়ন করার রিক্রুটিং সিস্টেম। রিক্রুটমেন্ট পয়েন্ট সিস্টেমে প্রথম রাউন্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড পরীক্ষা (স্কীল টেস্ট, কম্পিটেন্সি টেস্ট) নিয়ে, প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ড পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে উচ্চ নাম্বারের ভিত্তিতে সম্ভাব্য নির্বাচিতব্য প্রার্থীর পরিমান লোককে বাছাই করা হবে। ইপিএস এবং বোয়েসেল (BOESL) তাদের ওয়েব সাইট www.boesl.org.bd এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় দক্ষিন কোরিয়া চাকরির অনলাইন রেজিস্ট্রেশন নামে কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এর রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। উক্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর নির্দিষ্ট দিনে প্রার্থীগণ অনলাইনে বোয়েসেল (www.boesl.org.bd) বা ইপিএস (eps.boesl.org.bd) এর ওয়েব সাইটে গিয়ে নিজের পাসপোর্ট নাম্বার এবং অন্যান্য তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। আবেদন করার জন্য আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হবে না। চাইলে নিজের বা যে কারও কম্পিউটারে বসে নিজের রেজিস্ট্রেশন নিজেই করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন শেষে আপনাকে কনফার্মেশন ফর্ম দেবে যেটা প্রিন্ট করে রেখে দেবেন।

 

প্রথম রাউন্ড পরীক্ষা (কোরিয়ান ভাষা দক্ষতা পরীক্ষা-(EPS-TOPIC CBT)

CBT – Computer base Test যা একটি কম্পিউটারাইজড পরীক্ষা পদ্ধতি যাতে কম্পিউটারের সামনে বসে রিডিং এবং লিসেনিং পরিক্ষা দিতে হয়। ৫০ মিনিট সময়ের মধ্যে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয় যাতে ২০ টি প্রশ্ন থাকে রিডিং বা পড়ে বলার জন্য এনং ২০ টি প্রশ্ন থাকবে লিসেনিং, যেটা শুনে এবং বুঝে উত্তর করার জন্য। ১০০ নম্বরের মাঝে ৪৪ নম্বরের অধিক পাওয়া পরীক্ষার্থীদের মাঝে থেকে কোটা সংখ্যক লোক নির্বাচিত করা হয়। পরীক্ষার রেজাল্ট ওয়েব সাইটে এবং বোয়েসেলের নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হয়। এই পরীক্ষায় উরতিন্ন প্রার্থীদের ফল প্রকাশের দিন থেকে পরবর্তী দুই বছর উরতিরন হিসাবে বিবেচনা করা হবে।

SPEAKING

At A1 level you will be able to:

  • Develop a repertoire of simple phrases for use in specific situations.
  • Interact in a simple way provided the other person is prepared to repeat or rephrase things at a slower rate of speech.
  • Ask and answer simple questions in areas of immediate need or on very familiar topics.

 

LISTENING

At A1 level you will be able to:

  • Recognise familiar words and very basic phrases concerning; yourself, your family and immediate concrete surroundings when people speak slowly and clearly.
  • Follow simple and clearly-articulated speech, given time to assimilate meaning.

 

READING:

At A1 level you will be able to:

  • Understand very short and simple Korean-language texts, and be able to pick up familiar names, words, and basic phrases.
  • Understand familiar names, words and very simple sentences, for example on notices and posters or in catalogues.

 

WRITING:

At A1 level you will be able to:

  • Write a short, simple postcard, for examples sending holiday greetings.
  • Fill in forms with personal details, for example entering your name, nationality and address on a hotel registration form
Show More

Student Ratings & Reviews

No Review Yet
No Review Yet

Want to receive push notifications for all major on-site activities?